If you want to read in ENGLISH CLICK HERE
ইংরেজি প্রকৃতি বিজ্ঞানী চার্লস রবার্ট ডারউইন(১৮০৯-১৮৮২) ১৮৫৮-৫৯ সালে তার "আরজিন অব স্পিশিজ বাই মিনস অব ন্যাচারাল সিলেকশন" বইতে বিবর্তন সম্পর্কিত তাঁর মতবাদ প্রকাশ করেন।বিবর্তন সম্পর্কে ডারউইনের এই মতবাদকে ডারউইনিজম বলে।
কয়েকটি তও্ব ও তথ্যের উপর ডারউইনিজম প্রতিষ্টিত।নিম্নে এগুলো উল্লেখ করা হলো :
(১)বংশবৃদ্ধির উচ্চাহার : একটি জীব প্রজননের সময় প্রচুর সংখ্যয় বংশবৃদ্ধি করে।কিন্তু এরা সবাই বাঁচে না।যেমন একটি ইলিশ মাছ প্রজনন ঋতুতে বিশ লক্ষ ডিম পাড়ে।
(২)প্রাকৃতিক সম্পদের সীমাবদ্ধতা : একটি জীবের জন্মহারের তুলনায় তার খাদ্য, বাসস্থান ও অন্যান্য প্রকৃতিক সম্পদ কম।
(৩)জীবন সংগ্রাম: প্রাকৃতিক সম্পদ সীমাবদ্ধতার কারণে জীবন সংগ্রাম অনিবার্য হয়ে ওঠে।নিজ নিজ অস্তিত্ব রক্ষার লক্ষ্যে এ প্রতিযোগিতাকে জীবন সংগ্রাম বলে।জীবন সংগ্রাম তিন ধরনের হয়,নিম্নে এহুলো উল্লেখ করা হলো:
(ক)অন্তঃজাতী সংগ্রাম:
খাদ্য ও বাসস্থানের নিয়ে নিজের প্রজাতির মধ্যে যে সংগ্রাম হয় তাকে অন্তঃপ্রজাতী সংগ্রাম বলে।যেমন~ হরিণে হরিণে সংগ্রাম।
(খ)আন্তঃজাতী সংগ্রাম:
ভিন্ন প্রজাতির জীবদের মধ্যে যে সংগ্রাম হয় তাকে আন্তঃপ্রজাতী সংগ্রাম বলে। যেমন~বাঘ ও হরিণের মধ্যে সংগ্রাম।
(গ)পরিবেশগত সংগ্রাম:
বেঁচে থাকার জন্য জীব প্রতিকূল পরিবেশের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম হয় তাকে পরিবেশগত সংগ্রাম বলে।ধ্বংসপ্রাপ্ত বনে বেঁচে থাকার জন্য সেখানকার জীবদের যে সংগ্রাম।
(৪)প্রকরণের উপস্থিতি: জীবদের মধ্যে নানা ধরনের প্রকরণ দেখা যায় প্রতিকূল পরিবেশের জন্য যে সকল প্রকরণ সুবিধাজনক বৈশিষ্ট্য বহন করে তারাই বেঁচে থাকার অগ্রাধিকার পায়।
(৫)যোগ্যতমের জয় : যে সমস্ত প্রকরণগুলো পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে তারাই জীবন সংগ্রামে জয়ী হয়।
(৬)প্রাকৃতিক নির্বাচনও নতুন প্রজাতির সৃষ্টি : যে সমস্ত জীব পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে চলতে পারে পরিবেশ তাদেরকেই নির্বাচন করে।তারাি পরিবর্তিত পরিবেশে বেঁচে থাকে।এভাবেই নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়।
ENGLISH VERSION
Comments
Post a Comment